ঢাকা,মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

ঋণ খেলাপির দায়ে পেকুয়া সমিতির চার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ঋণ নিয়ে অনাদায়ী বা খেলাপি থাকার দায়ে বিজ্ঞ আদালতে চার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সমিতির পরিচালনা কমিটি।

চেক ডিজঅনার মামলার আসামীরা হলেন, বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়ার বাসিন্দা পেকুয়া কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড এর ৩৭৬৮নং সদস্য বাজারের সাবেক কাপড় দোকান ব্যবসায়ী আব্দুল বারীর ছেলে নেছারুল হক, সমিতির ১১৩৭ নং সদস্য আনোয়ার উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা বাজারের সাবেক হোটেল ব্যবসায়ী মৃত সাধন বিশ্বাসের ছেলে কানু বিশ্বাস, পেকুয়া উপজেলার রাজাখালীর বাসিন্দা সমিতির ২৬০৯নং সদস্য বাজারের সাবেক কসমেটিকস ব্যবসায়ী গোলাম রহমানের ছেলে ওমর ফারুক ও বারবাকিয়ার বাসিন্দা সমিতির ২১৪২ নং সদস্য গরু ব্যবসায়ী জয়নাল আবদীন দুলাল।

সোমবার (২৯অক্টোবর) দুপুরে চকরিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেকুয়া কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন (ঋণদান সমিতি) সমিতির পক্ষে সেক্রেটারী মোঃফারুক ৪জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক শুনানী শেষে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারী করেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন উপজেলার এই চারজন ব্যক্তি পেকুয়া আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে দীর্ঘদিন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। ব্যবসায়ীর সূত্রে ১০নং ওয়ার্ডে (বাজার এরিয়া) সমিতির সদস্য হন তারা। এরপর ব্যাংকের চেক ও স্টাম্প জামানত দিয়ে মোটা অংকের ঋণ নিয়ে পেকুয়া বাজারের ব্যবসা বন্ধ করে লাপাত্ত হয়ে পড়েন। ঋণদান সমিতি নেছারুল হক থেকে পাবে ৭ লক্ষ ২০ হাজার, কানু বিশ্বাস থেকে পাবে ৬ লক্ষ ৭০হাজার, ওমর ফারুক থেকে পাবে ৮ লক্ষ ১৫ হাজার আর জয়নাল আবদীন থেকে পাবে ৮ লক্ষ ৫০হাজার টাকা।

সমিতি দশম ব্যবস্থাপনা কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর তাদেরকে সমিতির পক্ষ থেকে বহুবার নোটিশ প্রদান করা হলেও সাড়া না দেয়ায় গত ১মাস আগে এডভোকেট রাশেদুল কবিরের মাধ্যমে আইনি নোটিশ প্রদান করা হয়। বেশ কয়েকজনকে আইনি নোটিশ দিলেও এই চারজন সাড়া না দেওয়ায় আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।

সমিতির পক্ষে মামলার বাদি সেক্রেটারী মোঃ ফারুক বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সমবায় সমিতি পেকুয়া কো-অপারেটিভ ক্রেডিট তথা ঋণদান সমিতি। সময়ের পালাক্রমে সদস্যরা ঋণ নিয় খেলাপী হতে থাকেন। অনেক ব্যবসায়ী বাজারে ব্যবসা চলাকালীন সময়ে ঋণ নিয়ে বর্তমানে ব্যবসা ছেড়ে নিজ এলাকায় চলে গেছেন। ঋণ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দায়িত্ব নেয় ১০ম ব্যবস্থাপনা কমিটি। এরপর খেলাপি ঋণগ্রস্ত সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঋণ পরিশোধে উৎসাহ প্রদান ছাড়াও সমিতির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার নোটিশ প্রদান করার পর আইনি নোটিশ প্রদান করা হয়। তারপরও ঋণ পরিশোধে অনেকের অনীহা রয়েছে। তাই ধারাবাহিকভাবে ঋণ খেলাপি সকলকে আইনি নোটিশ প্রদান করা হবে। তাই বলবো যারা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছেন আপনারা ঋণ পরিশোধে আগ্রহী হউন। গরীব অসহায়দের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে জমানো টাকা উদ্ধারে ১০ব্যবস্থাপনা কমিটি অবশ্যই জিরোটলারেন্সে থাকবে।

পাঠকের মতামত: